তাকবীর অর্থ হলো আল্লাহু আকবার বলা, উলা অর্থ হলো প্রথম উভয়টির একত্রে অর্থ হয় প্রথম আল্লাহু আকবার বা প্রথম তাকবীরে। এই তাকবীরে উলার অনেক ফজিলত রয়েছে ইসলামে। রসূল সাঃ তাকবীরে উলার এমন বড় সোয়াবের কথা বলেছেন যা সকল বিশ্বাসীদের অর্জন করা দরকার।
তাকবীরে উলার সময় কতটুকু
তাকবিরে উলা কি তার ব্যপারে কয়েকটি মত পাওয়া যায় তার মধ্যে সর্বোত্তম মত হলো ইমামের সাথে সাথে মুক্তাদি তাকবিরে তাহরিমা বলে নামাজে শরিক হওয়া। আরেকটি মত হলো যে মুসল্লির রাকাত ছুটেনি তিনিও তাকবিরে উলা পেয়েছেন। তবে আমল করার জন্য প্রথম মতটি বেশি উপযোগী। আর দ্বিতীয় মতটি মুসল্লির শান্তনার জন্য উপযোগী।
তাকবীরে উলার ফজিলত
চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার সাথে নামাজ আদায়ের বিশাল দুইটা ফজিলত একটি হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিতীয় টি হলো মুনাফিকি থেকে মুক্তি।
আনাস ইবনে মালিক রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি আল্লাহ তা’আলার সন্তোষ অর্জনের উদ্দেশ্যে একাধারে চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার (প্রথম তাকবীর) সাথে জামা’আতে নামায আদায় করতে পারলে তাকে দুটি নাজাতের ছাড়পত্র দেওয়া হয়ঃ জাহান্নাম হতে নাজাত এবং মুনাফিকী হতে মুক্তি।
(জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ২৪১)
জাহান্নাম থেকে মুক্তি
মৃত্যুর পর একজন মুমিনের সবচেয়ে উত্তম প্রতিদান হবে জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাতে প্রবেশ। স্বাভাবিক ভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে আল্লাহর সকল আদেশ আদায় করা এবং নিষেধ সমুহ থেকে বিরত থাকার উদ্দেশ্যই হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতে প্রবেশ করা। এতো বড় একটি নিয়ামত মাত্র চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার সাথে নামাজ আদায় করলে দয়াময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দান করবেন।
মুনাফিকী থেকে মুক্তি
মুনাফিকদের সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে থাকবে এবং তুমি তাদের জন্য কোন সাহায্য কারী পাবে না। সূরা নিসা- ১৪৫
উক্ত আয়াত দ্বারা সহজেই অনুমেয় যে মুনাফিকদের শাস্তি কাফের, মুশরিকদের থেকেও বেশি। মুনাফিক হলো ঐ ব্যক্তি যে মুখে ঈমান আনে এবং অন্ততরে কুফরি থাকে। দেখুন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মাত্র চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার সাথে নামাজ আদায় করলে মুনাফিকের খাতা থেকে নাম কেটে মুক্তি দান করেন।
প্রিয় ধর্মপ্রাণ ভাই আমার চলুন আমরা চল্লিশ দিন লাগাতার প্রথম তাকবীরের সাথে জামাতে নামাজ আদায় করে চিরশান্তির স্থান জান্নাত লাভ করি এবং স্থায়ি শাস্তির স্থান জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করি আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে তাওফীক দান করুক।