একজন মানুষের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলাম সুন্দর সুন্দর বিধান প্রদান করেছে। নবজাতক শিশু জন্ম গ্রহণ করার পর সন্তানের পিতা-মাতা বা তার অভিবাবকের উপর আকীকার বিধান ইসলামের সৌন্দর্যময় বিধান সমূহের মধ্য হতে অন্যতম একটি বিধান।
somadanmedia.com |
'আক্বীক্বাহ্ অর্থ: শিশু জন্মের পর সপ্তম দিবসে নামকরণ ও মাথার চুল মুড়ানো উপলক্ষে পশু কুরবানীর নাম আক্বীক্বাহ্। (ইসলামী বিশ্বকোষ ১ম খণ্ড, ১০০ পৃষ্ঠা)
'আক্বীক্বাহর গুরুত্ব:
সালমান ইবনু আমির দাব্বী (রাযি.) বর্ণনা করেছেন, আমি রসূলুল্ল-হক-কে বলতে শুনেছি, ছেলের 'আক্বীক্বাহ্ করা আবশ্যক। অতঃপর তোমরা তার পক্ষ হতে রক্ত প্রবাহিত কর অর্থাৎ জানোয়ার যাবাহ্ কর এবং তার থেকে কষ্ট দূর কর- (বুখারী আধুঃ প্রকাঃ ৫ম খণ্ড হা: ৫০৬৬)। ইউসুফ ইবনু মাহাক (রাযি.) থেকে বর্ণিত তারা কয়েকজন মিলে 'আবদুর রহমানের কন্যা হাফসার কাছে গেলেন। তারা তাকে 'আক্বীক্বাহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাদেরকে অবহতি করেন যে, 'আয়েশা (রাযি.) তাকে জানিয়েছেন যে, রাসূল সাঃ তাদেরকে পুত্র সন্তানের পক্ষ থেকে সমবয়সী ২টি বকরী 'আক্বীক্বাহ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন- (তিরমিযী বাংলাদেশ ইসলামী সেন্টার, ৩য় খণ্ড, হা: ১৪৫৫)। সালমান ইবনু আমির দাব্বী (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূল বলেছেন: প্রত্যেক শিশুর পক্ষ থেকে আক্বীক্বাহ্ করা প্রয়োজন। অতএব তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর (পশু যাবাহ কর) এবং তার থেকে ময়লা বা কষ্টদায়ক বস্তু (যেমন চুল) দূর কর। (তিরমিযী ঐ, হাঃ ১৪৫৭)
'আক্বীক্বাহ্ কখন এবং কোন ধরনের পশু দিয়ে দিতে হবে:
সামুরাহ্ রাযি.থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্ল-হ বলেছেন: প্রত্যেক শিশু তার 'আক্বীক্বাহর সাথে বন্ধক (দায়বদ্ধ) থাকে। জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে যাবাহ্ করতে হবে, তার নাম রাখতে হবে এবং তার মাথা কামাতে হবে- (তিরমিযী ঐ, হাঃ১৪৬৪)। 'আয়েশা (রাযি.) বলেন, 'আক্বীক্বাহ হবে সপ্তম দিনে। তা যদি না হয় তাহলে চৌদ্দ দিনে। তাও যদি না হয় তাহলে একুশ দিনে- (মুসতাদরকে হা-কিম ৪র্থ খণ্ড, ২৩৯ পৃষ্ঠা)। ইমাম তিরমিযী (রহ.) বলেন, বিশেষজ্ঞ 'আলিমগণ এ হাদীস অনুযায়ী 'আমাল করেছেন। তাদের মতে শিশুর জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে 'আক্বীক্বাহ করা মুস্তাহাব, সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে চৌদ্দতম এবং সে তারিখও সম্ভব না হলে একুশ দিনে। তারা আরো বলেন, যে ধরনের বকরী কুরবানী করা জায়িয সে ধরনের বকরী দিয়ে 'আক্বীক্বাহ করাও জায়িয। (তিরমিযী ঐ. ১৩৫ পৃষ্ঠা)
পশুর গুণাগুণ:
'আক্বীক্বাহর পশু কুরবানীর পশুর মত। তাই আল্লামা ইবনু রুশদ বলেন, কুরবানীর পশু যেসব দোষ থেকে মুক্ত হবে 'আক্বীক্বাহ পশুর সেসব দোষ থেকে মুক্ত হওয়া উচিত। (বিদ'আতুল মুজতাহিদ)
'আক্বীক্বার সুন্নাতী সময়:
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর 'আমাল দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সপ্তম দিনটি অধিক উত্তম। কারণ, মা 'আয়িশাহ্ (রাযি.) বলেন: রাসূলুল্লাহ সাঃ হাসানের পক্ষ থেকে ২টি বকরী ও হুসাইনের পক্ষ থেকে ২টি বকরী 'আক্বীক্বাহ দেন।
যা তিনি সপ্তম দিনে যাবাহ করেন। (মুসান্নাফ, 'আবদুর রাযযাক) ইমাম মালিক (রহ.) বলেন, যেদিন সন্তান জন্মাবে সেদিনটি গণনা করা হবে না।
তবে হ্যাঁ শিশুটি যদি ঐ দিনের ফাজরের আগে জন্মায় তাহলে ফাজরের পরের দিনটিও গণনা করা হবে। (তুহফাতুল মাউদূদ)
ইমাম শাফিঈ (রহ.) থেকেও এরূপ বর্ণিত আছে। (উমদাতুল ক্বারী)
ইমাম নাববী বলেন, সঠিক মতে জন্ম দিনটিও সাতদিনের মধ্যে গণ্য হবে। কোন শিশু যদি রাতে জন্ম হয় তাহলে ঐ রাতের পরই আসছে দিনটি গণ্য হবে। কিন্তু দিনের মাঝে সন্তান জন্মগ্রহণ করলে ঐ দিনটি গণনার মধ্যে আসবে না। (রাওগাত হালধীন। সারকথা, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয়ের মধ্যে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করলে সূর্যোদয়ের সাথে আসছে দিনটি সাত দিনের মধ্যে গণ্য হবে। কিন্তু সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোন ছেলে-মেয়ে জন্ম হলে ঐ দিন সাতদিনের মধ্যে গণ্য হবে না। সপ্তম দিনে সকাল, দুপুর, বিকেল যে কোন সময়েই দিলে চলবে। এর জন্য কোন নির্দিষ্ট সময় নেই।
'আক্বীক্বাহ্ কে দিবে এবং কয়টি দিবে
'আমর ইবনু শু'আইব তার পিতার মাধ্যমে তার দাদা হতে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ এ-কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন: যার কোন সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়, আর সে তার পক্ষ হতে কোন পশু যাবাহ্ করতে চায়, তবে সে যেন অবশ্যই ছেলের পক্ষ থেকে ২টি এবং মেয়ের পক্ষ থেকে ১টি বকরী যাবাহ করে- (মিশকাত এমদাদিয়া লাইব্রেরী ঢাকা, ৮ম খন্ড, হাঃ ৩৯৭৭)। আল্লামা রাজী বলেন, এ হাদীসটি প্রমাণ করে যে, পিতারই দায়িত্ব সন্তানের 'আক্বীক্বাহ্ দেয়া।
কোন শিশুর পিতা যদি না থাকে তাহলে তার অভিভাবকই তার 'আক্বীক্বাহ দিবে। তাই ইমাম নাববী (রহ.) বলেন, সন্তানের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব যার উপর শুধুমাত্র সে ব্যক্তি 'আক্বীক্বাহ্ দিবে- (রওযাতুত ত্ব-লিবীন ৩য় খণ্ড, ২৩০' পৃষ্ঠা)। 'আয়িশাহ্ (রাযি.) বলেন, আমাদেরকে রসূলুল্ল-হ ও ছেলের পক্ষ থেকে ২টি এবং মেয়ের পক্ষ থেকে ১টি বকরী 'আক্বীক্বাহ্ দেয়ার হুকুম দিয়েছেন- (তিরমিযী ৩য় খণ্ড, হাঃ ১৪৫৫)। তাই আক্বীক্বাহ্ দেয়ার দায়িত্ব শিশুর পিতা যদি না থাকে তাহলে তার অভিভাবককে দিতে হবে এবং ছেলের পক্ষ থেকে ২টি এবং মেয়ের পক্ষ থেকে ১টি বকরী 'আক্বীক্বাহ্ দিতে হবে।
'আক্বীক্বার পশু যাবাহ্ করার নিয়ম ও দু'আ:
বিখ্যাত তাবিঈ কাতাদাহ (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো যে, 'আক্বীক্বাহ্ যাবাহ করা হবে কিভাবে? তিনি বলেলেন, কিবলার দিকে পশুটির মুখ করবে। তারপর তার গলায় ছুরি রাখবে অতঃপর বলবে, اللهم منك ولك عقيقت فلان بسم الله الله اكبر
আল্ল-হুম্মা মিনকা ওয়ালাকা 'আক্বীক্বাতু ফুলানিন বিসমিল্লাহি আল্ল-হু আকবার (তারপর যার পক্ষে 'আক্বীক্বাহ্ করা হচ্ছে তার নাম উল্লেখ করতে হবে এরপর বলতে হবে), বিসমিল্লা-হি আল্ল-হু আকবার, তারপর যাবাহ করবে- 'আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর বর্ণনায় রসূলুল্ল-হ বলেন, তোমরা শিশুর নামের উপরে যবেহ কর এবং বল 'বিসমিল্লা-হি আল্ল-হু আকবার মিনকা ওয়ালাকা' (যার নামে
'আক্বীক্বাহ করা হচ্ছে তার নাম উল্লেখ করতে হবে, এরপর বলতে হবে) 'আক্বীক্বাতু ফুলা- নিন- (সুনানে বাইহাকী ৯ম খন্ড, ৩০৩ পৃষ্ঠা)। অথবা 'আক্বীক্বাহর জন্তু যবেহ করার শিশুটির নাম নিয়ে বাংলায় এরূপ বললে চলবে যে, এটা অমুকের 'আক্বীক্বাহ্ তারপর বলবে, 'আল্ল-হুম্মা মিনকা ওয়ালাকা বিসমিল্লা-হি আল্ল-হু আকবার'। অতঃপর ছুরি চালাবে। হাফিয ইবনুল কাইয়্যিম বলেন, কেউ যদি 'আক্বীক্বার সঙ্কল্প করে এবং মুখে অমুকের 'আক্বীক্বাহ্ প্রভৃতি শব্দগুলো না বলে তাহলেও কাজ সিদ্ধ হবে ইনশা-আল্ল-হ- (তুহফাতুল মাওদূদ ৫৫ পৃষ্ঠা)। তবে 'বিসমিল্লা-হি আল্ল-হু আকবার' বলা যেন অবশ্যই না ছুটে। (সূত্র: 'আক্বীক্বাহ ও নাম রাখা)
'আক্বীক্বার দিন করণীয়:
'আলী ইবনু আবূ তালিব (রাযি.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্ল-হ হাসানের জন্য বকরী দ্বারা 'আক্বীক্বাহ্ দিয়ে বলেন: হে ফাতিমাহ্! তুমি এর মাথাটা মুণ্ডন করে দাও এবং এর চুলের ওজনের কিছু সদাক্বাহ করে দাও। ফলে আমরা তা ওজন করলাম। তা ছিল এক দিরহাম ওজনের কাছাকাছি- (তিরমিযী ৩য় খণ্ড, হাঃ ১৪৬১)। 'আয়িশাহ্ (রাযি.) বর্ণনায় আছে, নাবীবলেন, শিশুটির মাথা মুণ্ডন করে মাথায় জাফরান লাগিয়ে দাও- (আল ইহসান ফী-তারতীবি সহীহ ইবনু হিব্বান ৭ম খণ্ড ৩৫৫ পৃষ্ঠা, বেনারসের সওতুল উম্মাহ, আগস্ট ১৯৯৭ সংখ্যা ৩৯ পৃষ্ঠা, বরাতে 'আক্বীক্বাহ ও নাম রাখা ২৭ পৃষ্ঠা)। এ দু'টি হাদীস থেকে জানা যাচ্ছে যে, শিশুর সুন্দর নাম ঠিক করে সপ্তম দিনে আক্বীক্বাহ্ করতে হবে, তারপরে মাথা মুণ্ডন করতে হবে। তারপর মাথার চুল ওজন করে তার দামটা দান করে দিতে হবে এবং মাথায় সুগন্ধি লাগাতে হবে। রসূলুল্ল-হ হাসানের পক্ষে বকরী দ্বারা 'আক্বীক্বাহ্ দিয়ে বলেন, হে ফাতিমাহ! তুমি এর মাথার চুলগুলো ফেলে দাও এবং এর চুলের ওজনে কিছু সদাক্বাহ্ করে দাও। ফলে আমরা তা ওজন করলাম । এর ওজন ছিল এক দিরহাম। (হাকিম, বাইহাকী)
'আক্বীক্বাহ্ গোশ্ত খাওয়া বিতরণ ও চামড়া সম্পর্কিত:
রসূল এক্স-এর নাতি হাসান ও হুসাইন (রাযি.)-এর 'আক্বীক্বাহ্ দেয়ার সময় রসূল তার কন্যা ফাতিমাহ্ (রাযি.)-কে বলেন, সন্তানের ধাত্রীকে একটি রান পাঠাও এবং তা নিজেরা খাও, অপরকেও খাওয়াও আর এর হাড় ভেঙ্গ না- (আবু দাউদ)। আল্লামা ইবনু রূশদ বলেন, 'আক্বীক্বার গোস্ত ও তার চামড়া এবং সব অংশের বিধান কুরবানীর গোস্তের বিধানের মত অর্থাৎ খাওয়ার ব্যাপারে, দানের ব্যাপারে এবং তা বিক্রি নিষেধের ব্যাপারে- (বিদায়াতুল মুজতাহিদ ২য় খণ্ড, ৪৬৪ পৃষ্ঠা)। বিখ্যাত সহাবী ইবনু 'উমার (রাযি.) 'আক্বীক্বাহর পশুর চামড়া বেঁচে দিয়ে তার দামটা সদাক্বাহ্ করে দিতেন। প্রখ্যাত তাবিঈ হাসান (রহ.) বলেন, 'আক্বীক্বাহ্ ও কুরবানীর চামড়া কসাই ও পাচককে তাদের মজুরী হিসেবে দেয়া আপত্তিকর। (তুহফাতুল মাউদুদ ৪৩ পৃষ্ঠা, বরাতে 'আক্বীক্বাহ এ নাম রাখা ২৫ পৃষ্ঠা)
তাই কুরবানীর গোস্তের মত 'আক্বীক্বার গোস্তও সবাই খেতে পারবে এবং তা কারো জন্যই খেতে মানা নেই আর এ সম্পর্কে সমাজে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে, শিশুর মা-বাবা, দাদা-দাদী, নানা-নানী 'আক্বীক্বাহর গোশত খাওয়া নিষেধ; আসলে এটা ভিত্তিহীন ধারণা।
'আক্বীক্বাহ্ দেয়ার সময়ের আগে বা পরে শিশু মারা গেলে করণীয়:
কোন সন্তান যদি সাত দিনের আগেই মারা যায় তাহলে সে সন্তানের 'আক্বীক্বাহ্ দিতে হবে না- (মুসান্নাফে আঃ রাযযাক ৪র্থ খণ্ড ৩৩৫ পৃষ্ঠা, ফাতহুল বারী ৯ম খণ্ড ৫৯৪ পৃষ্ঠা; নায়লুল আওতার ৪র্থ খণ্ড ৩৬৯ পৃষ্ঠা)। কেউ যদি সাত দিনের পর মারা যায় তাহলে তার পক্ষেও 'আক্বীক্বাহ্ দিতে হবে। (রওযাতুত্ ত্ব-লিবীন ৩য় খণ্ড, ২৩২ পৃষ্ঠা)
নির্দিষ্ট সময়ে কারো 'আক্বীক্বাহ্ না হলে তার বিধান: এ সম্পর্কে বিশিষ্ট
'আলিম ও লেখক অধ্যাপক শাইখ হাফিয আইনুল বারী আলিয়াভী সাহেব তাঁর 'আক্বীক্বাহ্ ও নাম রাখা' নামক পুস্তকের ১৫-১৬ পৃষ্ঠা লিখেন- কোন পিতা বা অভিভাবক যদি সাত, চৌদ্দ ও একুশ দিনেও তার সন্তানের 'আক্বীক্বাহ্ না দিতে পারে তাহলে তার জন্য আর কোন নির্দিষ্ট দিন নেই। ঐ সন্তানটির বালেগ বা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত যে কোন সময়ে তার পক্ষ থেকে 'আক্বীক্বাহ্ দেয়া যাবে। কিন্তু সন্তানটি যদি বালেগ হয়ে যায় এবং তার পক্ষ থেকে 'আক্বীক্বাহ্ না দেয়া হয়ে থাকে তাহলে তার উপরে আর 'আক্বীক্বাহ্ থাকে না। (আল মুগনী ৮ম খণ্ড, ৬৬৭ পৃষ্ঠা: রওযাহ্ ৩য় খণ্ড, ২২৯ পৃষ্ঠা)
এবার প্রশ্ন সে নিজে তার 'আক্বীক্বাহ্ দিতে পারে কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে ইমাম আহমাদ বলেন, সে নিজের 'আক্বীক্বাহ্ দিবে না। কারণ এটা তার পিতার দায়িত্ব। কিন্তু দু' তাবিঈ 'আতা ও হাসান (রহ.) বলেন, সে নিজের আক্বীক্বাহ্ নিজেই দিবে। কারণ সে 'আক্বীক্বার সাথে বন্ধক আছে। তাই তার উচিত আক্বীক্বাহ্ দিয়ে বন্ধক মুক্ত করা- (আল মুগনী ৮ম খণ্ড ৬৪৬ পৃষ্ঠা)।