ইসলাম ধর্মের ঘাঁটি যোগ্য আলেম তৈরি করার কারখানা মাদ্রাসা, সেই মাদ্রাসাতেও পড়ানো হবে রামায়ণ। বিস্মিত হয়েছে! না তা বাস্তব, নাউজুবিল্লাহ। চলুন ভারতের উত্তরাখণ্ডের নতুন খবরটি জেনে নেই।
somadanmedia.com |
ভারতের উত্তরাখণ্ডের মাদ্রাসা সিলেবাসে রামায়ণ অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য ওয়াকফ বোর্ড। ইতিমধ্যে দেহরাদুন, হরিদ্বার, নৈনিতাল ও উধম সিং নগর এই চার মাদ্রাসায় এই নতুন সিলেবাসে পাঠদান হবে এবং পর্যায়ক্রমে তাদের রাজ্যে থাকা ১১৭টি মাদ্রাসার পাঠ্যসূচিতেই যুক্ত হবে রামায়ণ জানিয়েছে উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ড।
উত্তরাখণ্ড ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান শাদাব শামস বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি রামায়ণও পড়াবো। আমরা যদি লক্ষ্মণের কাহিনী থেকে তাদের শেখাতে পারি যে বড় ভাইয়ের জন্য তিনি কত ত্যাগ করেছিলেন, তাহলে ক্ষমতার লালসে আওরঙ্গজেবের ভাই হত্যার কাহিনী শেখানোর দরকার কি?’
এই চার মাদ্রাসায় ড্রেসকোডও নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওয়াকফ বোর্ড থেকে এই চার মাদ্রাসায় রামায়ণ জানা চারজন প্রিন্সিপালকে নিয়োগ দেওয়া হবে। নতুন সিলেবাস তৈরির জন্য আরও বড় পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আপাতত উত্তরাখণ্ডের চারটি জেলার চারটি মাদ্রায় রামায়ণ পড়ানো শুরু হবে। সে বিষয়ে দক্ষ শিক্ষকও নিয়োগ করা হবে। পাশাপশি সেমিনারের আয়োজনও করা হবে বলে জানিয়েছেন ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি আরও জানিয়েছেন, ওই চারটি মাদ্রাসাকে মডেল হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। তাই প্রথম ধাপে সেখানে চালু হবে রামায়ণের পাঠক্রম। ধীরে ধীরে তা সারা রাজ্যের সমস্ত মাদ্রাসায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এর পাশাপাশি শ্রী রামের বন্দনাও শোনা গিয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যানের কথায়। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের রামের মতো সন্তানই প্রয়োজন, যিনি কেবল বাবার কথা রাখতে বনবাসে গিয়েছিলেন।
মতামত
ভারতের উত্তরাখণ্ডের এই সিদ্ধান্ত মুসলিম জাতির জন্য হুমকি। মুসলিম জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় ধরনের একটি ধুম্রজাল বিস্তার করা হচ্ছে। এখনো যদি মুসলিম জাতিরা সজাগ না হয় তাহলে বড় দুর্ভোগ পোহাতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতির এই ক্লান্তিলগ্নে যেখানে মাদ্রাসাতে হিন্দু ধর্মের রামায়ণ পাঠদানের ব্যাপারে ভারতীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যে উপর উল্লেখিত মাদ্রাসাগুলোতে রামায়ণ পাঠ করানো হবে এবং নতুন সিলেবাস তৈরি এবং রামায়ণ জানে এমন প্রিন্সিপাল নিয়োগ দেয়া হবে। যদি তাই হয় তাহলে ইসলাম ধর্ম এর সক্রিয়তা কোথায় বজায় থাকলো। মুসলিম জনতার কাছে একটি দাবি থাকলো যে নিজের ঈমান আকিদা সঠিক রাখার জন্য সব সময় সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বিজাতিদের আগ্রাসন থেকে হেফাজত করুক আমিন।