সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন পত্রিকার হেডলাইনে দেখা যাচ্ছে সরকারি ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশের প্রায় ৫ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে। বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকার রেফারেন্স উল্লেখ করে এ কথা নিশ্চিত করেছেন যে, বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য তথা ব্যক্তির নাম, জন্মতারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), মোবাইল ফোন নম্বর, পেশা ও ঠিকানা, ছবি, আঙ্গুলের ছাপ ফাঁস হয়েছে। এই ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ফলে জনগণের কি কোন ক্ষতি হতে পারে? আজ এই বিষয়টা নিয়ে সমাধান মিডিয়া আলোকপাত করবে।
ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার ফলে যে ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা হয়।
স্বাভাবিকভাবে চিন্তা করলেই বোঝা যায় কোন চোর বা হ্যাকার মূল্যহীন কোন জিনিস চুরি করে না। যেহেতু তারা এ তথ্যগুলো চুরি করেছে বা হ্যাক করেছে কাজেই এগুলো অনেক মূল্যবান এবং এগুলো দিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করতে পারে।
আঙ্গুলের ছাপ এবং এন আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে আপনার নামে সিম কার্ড ক্রয় করে সেই সিম কার্ড দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করবে হ্যাকার গ্রুপ তারপর যদি তা প্রকট আকার ধারণ করে যার ফলে এই অপকর্ম কে খতিয়ে দেখা হয় তখন পার পেয়ে যাবে প্রকৃত অপরাধী আর আকটা পরবে আপনার আমার মত নিরপরাধ সাধারণ মানুষ।
ডার্ক ওয়েবে তথ্য বিক্রির আশঙ্কা:
ইন্টারনেটে বিশাল এক দুনিয়া যার নাম হলো ডার্ক ওয়েব বা অন্ধকার জগত যেখান থেকে সমস্ত ধরনের দুর্নীতি, অস্ত্রপ্রচার সহ সকল ধরনের খারাপ কাজ করা হয়ে থাকে। এই ইন্টারনেট জগতে কোন ব্যক্তি প্রবেশ করতে চাইলে তাকে ভিপিএন ব্যবহার করে পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। বাংলাদেশের জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ডার্ক ওয়ে বের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে দিতে পারেন হ্যাকারগণ। ফলে তারা আপনার তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে থাকবে এবং মূল অপরাধী বেঁচে যাবে ধরা খাব আমি আর আপনি।
ব্যাংক একাউন্ট খালি হয়ে যেতে পারে:
যদি আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে থাকে এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সবকিছু চুরি হয়ে যায়। এই ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে তারা আপনার ব্যাংক একাউন্ট হ্যাক করে সমস্ত অর্থকড়ি নিয়ে যেতে পারে নিমিষেই। ফলে কোটিপতি থেকে মুহূর্তেই পথের ভিখারী হয়ে যেতে পারেন ভুক্তভোগী।
একেবারে ফকির করে দিতে পারে
একজন হ্যাকার, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে আপনাকে জিম্মি করে আপনাকে একেবারে পথের ফকির বানিয়ে দিতে পারে। সুতরাং নিজের ব্যক্তিগত তথ্য কোনভাবেই যেন কোন হ্যাকারের হাতে না পড়ে সেদিকে করা নজর রাখতে হবে।
পরিত্রাণের উপায়
সুতরাং আমরা বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি যে বর্তমান এই টেকনোলজির যমানায় এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার যার ফলে ঐ সমস্ত ফাঁস হওয়া তথ্য চিরতরে মুছে ফেলা হয়। এবং এমন পদক্ষেপ নিতে হবে যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।