ইসলামী শরীয়তে হুন্ডির ব্যবসা জায়েজ কিনা
যদি আপনি হুন্ডি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক সাইটে প্রবেশ করেছেন। আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে হুন্ডি কাকে বলে, হুন্ডি জায়েয কিনা,শরীয়তের দৃষ্টিতে হুন্ডির ব্যবসা করার হুকুম সহ আরো কিছু বিষয়।তাই আপনাকে সমাধান মিডিয়াতে স্বাগত।
হুন্ডি কাকে বলে?
বহু আগে থেকেই প্রচলিত একটি ব্যবসা হলো হুন্ডি যাকে আরবিতে হাওয়ালা বলা হয়।সরকারী নিবন্ধনকৃত নয় এমন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে এক দেশের কারেন্সি অন্য দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ ফি প্রদান করে আদান-প্রদান করা কে হুন্ডি বলা হয়। এবং এই লেনদেন যেহেতু ঋণের বৃত্তিতে হয়,আমানত হিসেবে নয়। তাই রাস্তার বিপদ আপদ থেকে এই টাকা নিরাপদ থাকবে। এখানে এক দেশের কারেন্সি কে অন্য দেশের কারেন্সির সাথে পরিবর্তন করা হয়। এই পরিবর্তন করা জায়েয করার জন্য কোন একটি কারেন্সি কে মজলিসের মাঝেই হস্তগত করতে হবে।যেন তা ঋণের পরিবর্তে ঋণ না হয়ে যায়। যা শরিয়তে নিষিদ্ধ।
শরীয়তের দৃষ্টিতে হুন্ডির ব্যবসা করার হুকুম
শরীয়তের দৃষ্টিতে হুন্ডির ব্যবসা করা জায়েয।যদি কোন একটি কারেন্সি কে মজলিসের মাঝেই হস্তগত করা হয়। তবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নিরাপত্তর সার্থে সরকার হুন্ডির ব্যবসা কে নিষিদ্ধ করছে। এবং দেশের যে আইন শরীয়তের মূলনীতির সাথে সাংঘর্ষিক না হয় তা মান্য করা সকলের কর্তব্য। অতএব যারা বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর প্রয়োজন হয় তাদের সরকারী নিবন্ধনকৃত কোন কম্পানি বা সংস্থার অধীনে পাঠালেই ভালো হয়।
কেননা ফতোয়ায়ে শামীতে বলা হয়েছে যে কাজ করলে গুনাহ হয় না সে কাজের ক্ষেত্রে রাস্টপ্রধানের অনুসরন করা কর্তব্য।
হুন্ডির ব্যবসা করার সময় কারেন্সির মূল্য কম বেশি করা যাবে কি না?
একধরনের কারেন্সি কে অন্য ধরনের কারেন্সি দারা পরিবর্তন করার সময় পরস্পর সমঝোতার মাধ্যমে মূল্য কম বেশি হতে পারে তা জায়েয আছে।ফতোয়া কাসেমিয়া ২০/২৬৬,বাহরুর রায়েক ৬/২১৯,আল হেদায়া ৩/৮৩।
উপসংহার
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ আরো কোন বিষয় জানতে চাইলে কমেন্ট করে জানাবেন অতিদ্রুত রিপ্লাই দেওয়া হবে। আশা করি সমাধান মিডিয়ার সাথেই থাকবেন।