Please subscribe your YouTube channel . Subscribe!

কোরআন ও হাদিসের আলোকে গীবত ও তার ভয়াবহ পরিণতি এবং পরিত্রাণের উপায়।

কোরআন ও হাদিসের আলোকে গীবত ও তার ভয়াবহ পরিণতি এবং পরিত্রাণের উপায়।

গিবত কাকে বলে?

গীবত এটি আরবি শব্দ যার অর্থ হলো: কুৎসা রটনা করা, পরনিন্দা করা, পরোক্ষে নিন্দা করা,পিছনে সমালোচনা করা,পরচর্চা করা, কারো দোষ চর্চা করা। শরীয়তের পরিভাষায় গীবত বলা হয়: কোন ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তার সম্পর্কে এমন কোন কথা আলোচনা করা যা শুনলে সে কষ্ট পাবে। আল্লামা ইবনুল আসির রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, গীবত হল: কোন মানুষের এমন কোন বিষয় যা তার অনুপস্থিতিতে উল্লেখ করা, যাকে সে অপছন্দ করে, যদিও এ বিষয়টি তার মধ্যে বিদ্যমান থেকে থাকে। হাদিস শরীফে রাসুল সাঃ গীবতের সংজ্ঞা এভাবে দিয়েছেন, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের কে সম্বোধন করে বললেন, তোমরা কি জানো ও গীবত কি? উত্তরে তারা বলল আল্লাহ এবং তাঁর রসূলই ভালো জানেন। রসুল সাঃ বলেন তোমার অপর ভাইয়ের এমন বিষয় তার অগোচরে আলোচনা করা যা সে অপছন্দ করে। তখন আল্লাহর রাসূলকে বলা হলো যে বিষয়ে তার অগোচরে বলা হয়েছে যদি তা তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে, তাহলে ও কি গীবত হবে? রসুল সাঃ বললেন যা বল সে বিষয়ে যদি তার মধ্যে বিদ্যমান থাকে তাহলেই তুমি গীবত করলে। আর যদি সেই ত্রুটি তার মধ্যে বিদ্যমান না থাকে তাহলে তুমি মিথ্যা অপবাদ দিলে। (মুসলিম)

কোরআন হাদিসের আলোকে গীবত ও তার ভয়াবহ পরিণতি এবং পরিত্রাণের উপায়।

ইমাম নববীর রাহমাতুল্লাহি আলাইহি গীবতের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, গীবত হলো:একজন মানুষের মধ্যে বিদ্যবান এমন কোনো দোষ ত্রুটি অন্যের সামনে বর্ণনা ও আলোচনা করা, যে দোষ প্রকাশ হওয়াকে সে অপছন্দ করে। সেই দোষ চাই শারীরিক হোক বা চারিত্রিক, দুনিয়াবী হোক বা দ্বীনি, সৃষ্টিগত হোক বা বৈশিষ্ট্যগত, ধন সম্পদের ব্যাপারে হোক বা পিতা পুত্রের ব্যাপারে, স্ত্রীরির হোক বা স্বামীর, বা খাদেমার , পোশাক পরিচ্ছদে হোক বা চলাফেরায়, তার হাস্যজ্জল বা গাম্ভীর্যপূর্ণ চেহারাই হোক ইত্যাদি বিষয়ে যা তার সাথে সম্পৃক্ত। এই আলোচনা বা বর্ণনা মুখের ভাষায় হোক বা লেখনীর মাধ্যমে অথবা ব্যাঙ্গাকৃতির মাধ্যমে হোক অথবা হাত, চোখ, মাথার ইশারার মাধ্যমে হোক কিংবা যেকোন মাধ্যমে হোক।

গিবতের প্রকারভেদ

ইমাম নববীর উপরোক্ত সংখ্যায় গীবতের প্রকারভেদ অনুমান করা যায়,১, সৃষ্টিগত শারীরিক গঠন বা অবয়বের গীবত। ২, চারিত্রিক আচার আচরণের গীবত।৩, বংশের গীবত।৪, পোশাক পরিচ্ছদের গীবত। ৫, পরোক্ষ গীবত।

গিবত করার কারণ সমূহ

যে সমস্ত কারণে মানুষ একে অপরের দোষ চর্চা বা গীবত করে থাকে তা হল,

১, শত্রুতা বা হিংসা বিদ্বেষের কারণে। 

২, ক্রোধ ও প্রতিশোধের কারণে।

৩, নিজের মর্যাদা বৃদ্ধির আশায় তিরস্কার বা গীবত।

৪, কেউ তার মর্যাদার সমন পর্যায়ে পৌঁছলে।

৫, মানুষকে হাসানোর জন্য মিথ্যা ঘটনা বা কিচ্ছা বর্ণনা করার মাধ্যমে।

৬, অন্যের প্রতিও কুধারণার কারণে। 

৭, অধিক অবসর ও বেকারত্বের কারণে। 

৮, উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নৈকট্য লাভের আশায়।

৯, নিজের ত্রুটির প্রতি নজর না দেওয়ার কারণে। উপরে উল্লেখিত কারণ সমূহ কারো মধ্যে যদি পাওয়া যায় তাহলেই সে গীবতের মতো জঘন্য পাবে লিপ্ত হয়ে যায়। সুতরাং আমাদের উচিত, যে সকল কারণে গীবত এর সূচনা হয় এই সকল কারণ থেকে নিজেকে বিরত রাখা।

গিবতের কুফল বা পরিনতি

হাদিস শরীফের মধ্যে গীবতের অনেক কুফল বর্ণিত রয়েছে, মেইন মেইন পয়েন্ট গুলো উল্লেখ করা হলো।

গীবত করার কারণে কবরের শাস্তি ভোগ করতে হবে।

জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা একদা রাসূল সাঃ এর সাথে ছিলাম, অতঃপর তিনি এমন দুটি কবরের পাশে আসেন, যে দুইটি কবরে আজাব দেওয়া হচ্ছিল। অতঃপর তিনি বলেন, এই দুই কবরবাসীকে আজাব দেওয়া হচ্ছে, তবে তাদের ধারণা অনুযায়ী কোন কবিরা গুনাহের কারণে না। কিন্তু তা মূলত কবিরা গুনাহ ছিল। তাদের মধ্যে একজন মানুষের গীবত করে বেড়াতো, অপরজন পেশাবের ছিটা নিজের গায়ে পড়াকে অপছন্দ করত না, এ ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করত না।

পরকালের শাস্তি ভোগ করতে হবে 

রসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মেরাজে যান তখন জিব্রাইল ফেরেশতা তাকে জান্নাত এবং জাহান্নামের অবস্থা অবলোকন করান। আনাস বিন মালেক রাঃ হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, যখন আমাকে উর্ধ্বাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন আমি একদল লোকের পাশ দিয়ে অতিক্রম করি, যারা তাদের হাতের পিতলের নখ দিয়ে তাদের চেহারা ও বুক আঁচড়াচ্ছে ও খামচাচ্ছে। আমি বললাম হে জিব্রাইল এরা কার? জিব্রাইল বলেন, তারা (মানুষের গীবত করে) তাদের গোস্ত ভক্ষণ করত এবং তাদের ইজ্জত, মান সম্মান নষ্টের কাজে লিপ্ত হতো। (মুসনাদে আহমদ)

গীবতকারীর জান্নাতে প্রবেশ করার অধিকার থাকবে না

হাদিসে এসেছে জৈনক ব্যক্তি একের কথা অপরের কাছে বলে বেড়াতো এ খবর বিশিষ্ট সাহাবী হুজাইফা রাঃ কাছে পৌঁছলে তিনি বলেন, আমি রসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, চুগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তথা যে ব্যক্তি একজনের দোষ আরেকজনের কাছে বর্ণনা করে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

দুনিয়া ও আখেরাতে নিজের ত্রুটি প্রকাশ পাবে

যে ব্যক্তি দুনিয়াতে অন্যের দোষ প্রকাশ করে। আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ প্রকাশ করবে। অপর হাদিসে এসেছে যে ব্যক্তি অপরের দোষ দুনিয়াতে গোপন করবে। আল্লাহ তা'আলা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন।

অন্যের পাপের বোঝা নিজ গাড়ে বহন করতে হবে

রসূল সাঃ বলেন কেউ যদি অন্য ভাইয়ের মান সম্মান বা অন্য কিছুর নষ্টের মাধ্যমে জুলুম করে থাকে। তাহলে সে যেন ঐ দিন আসার পূর্বে ই নিষ্পত্তি করে নেয়। যেদিন তার কোন দিনার এবং দিরহাম থাকবে না। যদি দুনিয়াতে সে নিষ্পত্তি না করে, তাহলে ওই অত্যাচারের পরিমাণ অনুযায়ী তার সৎ আমল মজলুমকে দেওয়া হবে। আর যদি তার সৎ আমল না থাকে তাহলে ঐ ব্যক্তির গুনাহ নিয়ে তার কাঁধে চাপিয়ে দেওয়া হবে। (বুখারী)

গীবত কারীর দুর্গন্ধ দুনিয়ায় ছড়িয়ে যায়

জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর সাথে ছিলাম এমন সময় হঠাৎ করে মৃত লাশের দুর্গন্ধময় বাতাস প্রবাহিত হল, তখন রসূল সাঃ বলেন তোমরা কি জানো এটা কিসের দুর্গন্ধময় বাতাস, রসূসাঃ বলেন যারা মুমিনদের গিবতে লিপ্ত হয়, তাদের দুর্গন্ধময় বাতাস। (মুসনাদে আহমদ)

মৃত জানোয়ারের গোশত ভক্ষণ করা হয় 

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসুদ রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, একথা আমরা রাসুল সাঃ এর সাথে ছিলাম। এমন সময় সেখান থেকে এক ব্যক্তি উঠে চলে গেলে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে অপর ব্যক্তি কিছু সমালোচনায় লিপ্ত হয়। তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি তোমার দাঁত খিলাল করো। সে বলল আমি তো গোস্ত ভক্ষণ করিনি, কেন দাঁত খিলাল করব? রাসুল সাঃ বলেন তুমি তো এইমাত্র তোমার ভাইয়ের গোশত ভক্ষণ করলে।( আত তারগীব ওয়া তারহীব)

গিবত করার ক্ষতি ও গীবত না করার সুফল

গীবত অনেক বড় একটি কবিরা গুনাহ নিজের জবান বা অন্য কোনভাবে কারো ইজ্জত আভ্র নষ্ট করার জন্য গীবত করা থেকে বেঁচে থাকার অনেক সুফল রয়েছে।

১, গীবত করা মৃত জানোয়ারের গোশত খাওয়ার মতো, যদি কেউ গীবত থেকে বেঁচে থাকে তাহলে সে এই জঘন্য পাপ থেকে বেঁচে থাকলো ।

২, গীবত করা ব্যবিচারে লিপ্ত হওয়ার চেয়ে জঘন্য অপরাধ সুতরাং যে ব্যক্তি গীবত করা ছেড়ে দিল সে ব্যবিচারের চেয়েও জঘন্য একটি অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচালো।

৩, গীবত করার ফলে রোজার মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আমলও নষ্ট হয়ে যায়, সুতরাং যে ব্যক্তি গীবতকে পরিহার করল সে তার রোজা কেউ রক্ষা করল।

৪, গীবত করার কারণে অযুর মধ্যেও কমতি চলে আসে। এ কারণে হানাফী মাযহাব মতে যদি কোন ব্যক্তি অযু করার পর গীবত করে বা মিথ্যা কথা বলে তাহলে তার পুনরায় অযু করা উচিত‌। সুতরাং যে ব্যক্তি গীবত করা থেকে বেঁচে থাকলো সে নিজের অজুকে রক্ষা করলো যে অজু ছাড়া নামাজ পড়া, কোরআন স্পর্শ করা যায় না।

৫, গীবত না করার মাধ্যমে কোন ব্যক্তি হারাম কাজ তথা কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে যেতে পারে, কেননা কুরআনে পাকের মধ্যে গীবত করাকে হারাম বলা হয়েছে।

৬, গীবত করার মাধ্যমে গীবতকারী অপর ব্যক্তিকে আহত করে। হযরত সুফিয়ান সাউরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি কোন ব্যক্তির গীবত করার চেয়ে তাকে তীর দিয়ে আহত করা সহজতর অপরাধ মনে করি। সুতরাং যে ব্যক্তি গীবত করা থেকে বেঁচে থাকলো সে অন্যকে আহত করা থেকে নিজেকে বাঁচালো।

৭, কোন ব্যক্তি গীবত ত্যাগ করে নিজের আত্মাকে নির্মল ও পাক পবিত্র রাখতে পারে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন যখন মুমিন ব্যক্তি কোন গুনাহ করে তখন তার অন্তরে একটি কালো দাগ পড়ে যায়। সুতরাং গীবত পরিত্যাগ করার মাধ্যমে নিজের অন্তরকে কালো দাগ পড়া থেকে হেফাজত করা যায়।

৮, যে ব্যক্তি গীবত করে না সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন লজ্জিত অপমানিত হবে না। কেননা সে মানুষের মান সম্মান ইজ্জত আব্রু নষ্ট করা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে।

গিবত থেকে বাঁচার উপায়

এক,গীবত আত্মার রোগ সমূহের একটি রোগ,আর আত্মার রোগ প্রতিরোধ করাতে আত্মার ডাক্তার প্রয়োজন,আত্মার ডাক্তার হলো হক্কানী পীর মাশায়েখ,এই রোগ প্রতিরোধে হক্কানী পীর মাশায়েখের সুহবত তথা সান্নিধ্য প্রয়োজন।

দুই, যা কিছু বলবে ভেবেচিন্তে বলতে হবে, হুটহাট করে কোন কিছু বলা যাবে না।

তিন, বন্ধু কিংবা আত্মীয়-স্বজনের অনুপস্থিতিতে তাদের আলোচনা করবেন না। আপনি ভাল আলোচনা করলেও হঠাৎ তার মধ্যে কোন খারাপ আলোচনা চলে আসতে পারে।

চার, আপনার কাছে কেউ গীবত করলে তাকে থামিয়ে দিন। যদি তাকে না থামাতে পারেন, তাহলে আপনি তাকে অন্য কথায় লিপ্ত করার চেষ্টা করুন, তাও যদি না পারেন। তাহলে এই মজলিস ত্যাগ করুন।

পাঁচ,গীবত থেকে বাঁচতে হলে কারো ব্যপারে কোন সন্দেহ হলে বা কারো থেকে কোন ত্রুটি প্রকাশ পেলে ঐ ব্যক্তির কাছে জিজ্ঞেস করে মিমাংসা করে নিতে হবে। অন্য কারো কাছে বলা যাবে না।

ছয়,নিজের ভিতর থেকে অহংকার ও হিংসা বিদ্বেষ দূর করতে হবে।যদি তাকে দূর করতে সক্ষম হন। তাহলে গীবত থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে।

সাত, মানুষের ব্যপারে কুধারণা ও গুয়েন্দাগিরি পরিহার করতে হবে। কেননা মানুষ প্রথমে কারো ব্যাপারে সামান্য ধারণ করে, তারপরে ধারণা থেকে কুধারণায় চলে যায় এবং সেই কুধারণা কে ভিত্তি করে গোয়েন্দাগিরি করতে থাকে। যদি তার ধারণার অনুযায়ী কিয়দংশ মিলে যায়, তখন তাকে কেন্দ্র করে গীবতের মত মারাত্মক গোনাহে লিপ্ত হয়ে যায়।

আট, অন্যের দোষের প্রতি নজর না দিয়ে, আখেরাতের ভয়ের কথা চিন্তা করে নিজের দোষ ত্রুটির প্রতি নজর দিতে হবে এবং এগুলোকে সংশোধন করার চেষ্টা করতে হবে।

নয়, মানুষের জন্য বেশি বেশি দোয়া করতে হবে, মানুষের কল্যাণ কামনা করতে হবে।

দশ, কাউকে উপহাস করা যাবে না।নিজেকে বড় মনে করে কাউকে উপহাস করা হাদিসের মধ্যেও নিষেধ করা হয়েছে, তাই আমরা উপহাস করা থেকে বিরত থাকবো। তাহলে গীবতের মতঝ মারাত্মক কবিরা গুনাহ আমাদের থেকে প্রকাশ হবে না।

এগারো, সব সময় আল্লার ভয় অন্তরের ভিতর রাখতে হবে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইচ্ছা করলেই কাউকে সকল ধরনের গুনাহের কাছ থেকে বিরত রাখতে পারে।

বার, কোন ধরনের কথা ও আচরণের মাধ্যমে যেন নিজের উন্নত চরিত্রের কোন ব্যাঘাত না ঘটে সেই দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। গীবতে মতো মহাপাপে লিপ্ত হওয়া নিজের উন্নত চরিত্র নষ্ট হওয়ার বড় কারণ।

তের, নিজের জন্য যা পছন্দ করা হয় অপরের জন্য তা পছন্দ করতে হবে। হাদিসের মধ্যেও এই কাজের প্রতি উৎসাহ করা হয়েছে।

চৌদ্দ, সালাফে সালেহীন ও বুজুর্গানে দীনের কথা এবং বাণী থেকে নসিহত গ্রহণ করতে হবে।

পনেরো, তওবার সকল শর্ত মেনে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে যে, এখন থেকে আর কোনদিন কারো গীবত, সমালোচনা, পরনিন্দা করব না।

উপসংহার

উল্লেখিত গীবত সম্পর্কিত আলোচনাটি বিভিন্ন হাদিসের কিতাব এবং কিতাবাদী থেকে চয়ন করে একত্রিত করা হয়েছে সুতরাং যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন তাহলে বন্ধুদের কাছেও তো শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর মানুষ ভূলের উর্ধ্বে নয়। কোন ভুল ত্রুটি হলে আমাদেরকে জানাতে পারেন এবং ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে গীবত থেকে বেঁচে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করার তৌফিক দান করুক।

Getting Info...

About the Author

A trusted platform of Education-Culture & News and Islamic Matters And online trip's

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.
×