রড আর ইট মিলে বিল্ডিং হয়। মনের মিল হলে ঘর আবাদ হয়। পারিবারিক জীবনের মূল কথাই হলো প্রাণে প্রাণে মিশে থাকা, তাহলে গড় হবে শান্তিময়। মানুষের জীবনে চাহিদার কোন অভাব নেই তবে দাম্পত্য জীবনে সুখ কামনা করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। কেননা দাম্পত্য জীবনের বহু সমস্যায় জড়াজড়িত হয়ে অনেক মানুষ নিজের জীবনকে বিসর্জন দিয়ে দিয়েছে।
মনে মনে মিল না থাকার কারণে কিছু কিছু মানুষ নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। সুন্দর এবং সুখময় দাম্পত্য জীবন কেইবা কামনা করবে না, কেনই বা কামনা করবে না, কারণ তার মধ্যে তো আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জান্নাতের সুখ দিয়েছেন। তবে তা আমাদের অর্জন করে নিতে হবে।আজ সমাধান মিডিয়া সুখময় দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে সুন্দর একটি বই এর পিডিএফ এবং রিভিউ প্রদান করবে।
সুখময় দাম্পত্য জীবন বইয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ
এখানে উক্ত বইয়ের উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ তুলে ধরা হচ্ছে এ অংশ থেকে পড়ে আশা করি আপনার ভালো লাগবে এবং আপনি এই বইটিকে ডাউনলোড করে পাঠ করতে উৎসাহিত হবেন।
একটি উদাহরণ
ইয়াহইয়া ইবনে মোয়াজ রাজি [রহমাতুল্লাহি আলায়হি] বলতেন, “মন মিথ্যে বললে, পাতিলের মতো। আর মুখ চামচের মতো। পাতিলে যা-ই থাকবে, চামচে তা-ই উঠবে। কেউ খারাপ কথা বললে, গিবত করলে, অপবাদ দিলে; বুঝতে হবে তার ভেতরেই এসব খারাপ আছে।”
জ্ঞানীরা বলেছেন, “মহিলাদের মুখ এমন তলোয়ার, যাতে কখনোই জং ধরে না।"
সাধারণত মহিলারা মুখ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। আর পুরুষরা হাত নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। কিছু হলেই হাত চালায়। পুরুষ এটা ভুলে যায়, আমি অধীনের ওপরই হাত চালাচ্ছি। আর এটাও মনে রাখতে হবে, অধীনের কোনো ভুল হলে, বুঝতে হবে, আমারও কিছু একটা হয়েছে। এজন্যে পুরুষের ভাবতে হবে, স্ত্রী-সন্তানের গায়ে হাত ওঠানো, এটা কোনো ভালো কাজ নয়। মানুষ তখনই হাত চালায়, যখন সে ভেবে নেয় আমি ব্যর্থ। আমি মনের ভাষায় বোঝাতে পারবো না । মানুষ যখন এই পরাজয় মেনে নেয়, আমি মুখের ভাষায় স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের বোঝাত পারবো না, তখনই সে হাত চালায় । হাত ওঠানো পুরুষত্ব নয়; পাগলামি ।
শরিয়ত অনেক পরে বলেছে, স্ত্রী যদি কোনো খারাপ কাজ করেই ফেলে, আর তা মুখ দিয়ে বোঝানোও সম্ভব নয় বা সে ফিরবে না, তখন হাত বা এক দুটি চর দেয়া যেতে পারে, তবে এটা প্রতিদিনের 'আমল' হলে চলবে না। আর সমাজে এমন চিত্র কমই। প্রতিদিনতো ছোটো খাটো কিছু হয়ই। মানুষ রেগে যায়। এজন্যে হুট করে হাত চালানো পুরুষেরই
দুর্বলতা। আর তাড়াতাড়ি মুখ চালানো মহিলাদের স্বভাব। কিছু পরিবারতো এমন রয়েছে, যাতে না মহিলার মুখ নিয়ন্ত্রণে আছে, আর না পুরষের হাত। এমন পরিবার কীভাবে শান্তিতে থাকবে?
কান্ধলার ঘটনা
কান্ধলার একটি জমি নিয়ে হিন্দু-মুসলিম বিরোধ চলছিলো। হিন্দুরা ঘোষণা দিলো, আমরা এটি পেলে মন্দির বানাবো। মুসলিমরা বললো, আমরা পেলে একে মসজিদ বানাবো। বিষয়টি একেবারে সাম্প্রদায়িক হয়ে যায়। মামলা চলে আদালতে। দু'পক্ষের দাবি-দাওয়া শুনে ইংরেজ বিচারক পড়েন বিপাকে। কী ফয়সালা দেবেন ভেবে পাচ্ছে না। বিচারক বিষয়টির সমাধানের জন্যে বাদি-বিবাদিদের ডেকে পাঠিয়ে বলেন, বিষয়টি আপনারা নিজেরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারেন কী-না দেখুন। হিন্দুরা বিচারককে প্রস্তাব করে বললো, আমরা আপনাকে একজন আলেমের নাম বলবো, তিনি যা বলবেন, আমরা তাঁর বক্তব্যের আলোকে দেয়া ফয়সালা মেনে নেবো ।
মুসলমানরাতো এই ভেবে উল্লসিত, আলেম কি আর মসজিদের বিরুদ্ধে কথা বলবেন? পথে-ঘাটে সে কী উত্তেজনা। হিন্দুরা তো বিচলিত। বিচারক দু'দলকেই সময় বেঁধে দেন। আদালতের নির্ধারিত দিন এলো । হিন্দুরা মুফতি এলাহি বখশ কান্ধলভি [রহমাতুল্লাহি আলায়হি]-এর নাম প্রস্তাব করলো । তিনি ছিলেন সমকালীন প্রথিতযশা আলেম। শাহ আব্দুল আজিজ মোহাদ্দেসে দেহলভি (রহমাতুল্লাহি আলায়হি]-এর ছাত্র। মুফতি সাহেব জমিটির ব্যাপারে জানতেন। তিনি এ জমির মালিক হিন্দুরা বলে ঘোষণা দিলেন। মুসলমানরা থ খেয়ে গেলো। এবার বিচারক জিজ্ঞেস করলেন, এতে কি হিন্দুরা মন্দির বানাতে পারে? মুফতি সাহেব বললো, জমি তাদের, তাই তারা যা ইচ্ছে তা-ই করতে পারবে। ইংরেজ বিচারক সেই মামলার ফয়সালায় এক ঐতিহাসিক ও মনছোঁয়া কথা লেখেন।
ভিনি লেখেন-“আজকের এ মামলায় মুসলমানরা হেরেছে ঠিক; কিন্তু ইসলামের জয় হয়েছে।” রায় শুনে হিন্দুরা ঘোষণা দেয়, আমরা এখনই কালেমা পড়ছি, আর এ জমিতে আমরা সবাই মিলে মসজিদ বানাবো! বিবেক বলছে, মিথ্যে বলতে হবে এবং মসজিদ বানাতে হবে; কিন্তু মুফতি সাহেব সত্য বললেন। সত্যের জয় হলো। মসজিদ হলো। আল্লাহ সত্যের জয় আনলেন।
মহিলারা অনেক সময় মনে করে মিথ্যে বললে পথ সহজ হবে। আসলে মিথ্যে বললেই পথ কাঁটাযুক্ত হয়। মিথ্যে আল্লাহ ঘৃণা করেন। মানুষ অপছন্দ করে। মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলে। একটি মিথ্যের বদলে সত্য দিয়ে জীবনকে সাজান। আল্লাহ আপনার সহায় হবেন।
বই পরিচিতি
নাম:সুখময় দাম্পত্য জীবন
লেখক: মাওলানা জুলফিকার আহমদ
অনুবাদক: মুফতি ওলিউর রহমান
মাকতাবা: মাকতাবাতুল আযীয ঢাকা
ধরন: pdf
ওজন: ৬.১১ এম বি
ভাষা: বাংলা
ডাউনলোড
বইটি ডাউনলোড করতে ডাউনলোড অপশন এ ক্লিক করে এক মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ভিজিট অপশনে ক্লিক করে সরাসরি ডাউনলোড করে নিন।
দাবিত্যাগ
এই বইটি অনলাইন থেকে কালেক্ট করা। সমাধান মিডিয়া এই পিডিএফ তৈরি করে নি। বড় শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি এই বইটাকে সমাধান মিডিয়া থেকে সরাতে চান তাহলে সমাধান মিডিয়াকে জানান ২৪ ঘন্টার মধ্যে থাকি অবসর করা হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
আপনি যদি সমর্থ্যবান হন কিংবা এই বইটি ক্রয় করতে সক্ষম হন তাহলে অবশ্যই বইটি ক্রয় করে পড়বেন। আর যদি ক্রয় করতে সক্ষম না হন কিংবা সমর্থ্য না থাকে তাহলেই এই পিডিএফ কি ডাউনলোড করে পড়বে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি করার জন্য ধন্যবাদ।